গত ০৮ নভেম্বর-২০২২ খ্রি: সকাল ১০ ঘটিকায় ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুরে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। উক্ত কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন জনাব সুবল চন্দ্র দাস, প্রধান শিক্ষক, ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব নাফিজা বাশার পপি, সহকারী প্রধান শিক্ষক, ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়াও অত্র বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচিতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাদারীপুর জেলার নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব আব্দুর রহমান। জেলার নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব আব্দুর রহমান খাদ্যের নিরাপদতা নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি বা”চাদের খাদ্যের নিরাপদতা বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তৈরীকৃত সচেতনতামূলক টিভিসি প্রর্দশনপূর্বক সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। টিভিসি-তে প্রর্দশিত ফলমূলে ফরমালিন নিয়ে ভ্রান্তধারণা, পথ খাবার পরিষ্কার পরি”ছন্নতা, নিরাপদ পানির ব্যবহার ও খাদ্য নিরাপদ রাখার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
নিরাপদ খাদ্য অফিসার তার নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম, খাদ্যের নিরাপদতা ও সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিতে নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা, খাদ্য নিরাপদ রাখার ৫ টি চাবিকাঠি যেমন- পরিষ্কার পরি”ছন্নতা বজায় রাখা, কাঁচা ও রান্না করা মাংস আলাদা রাখা, সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না করা এবং নিরাপদ খাদ্যের উপকরণ নিয়ে আলোকপাত করেন। উপস্থিত সভাপতি ও অতিথিবৃব্দ বাংলাদেশের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এরুপ কার্যক্রমকে স্বাগত জানায়।
সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব নাফিজা বাশার পপি তার বক্তব্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাথীর্দের নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোকপাত করেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি বা”চাদের খাদ্যের নিরাপদতা বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন
খাদ্যের নিরাপদতা শীর্ষক কর্মসূচিতে সভাপতি জনাব সুবল চন্দ্র দাস, প্রধান শিক্ষক, ডনোভান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারীপুর মহোদয় তার বক্তব্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গৃহীত কার্যক্রমের ভূষশী প্রশংসা করেন। তিনি জনসচেতনতার সৃষ্টির লক্ষ্যে এরূপ কর্মসূচি আরো বিভিন্ন বিদ্যালয়ে করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে যাতে সকলের খাদ্য নিরাপদ হয়। কর্মসূচিতে যা শিখানো হল তা অবিভাবকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান শিক্ষার্থীদের।
কর্মসূচিতে সম্মানিত সভাপতি জনাব সুবল চন্দ্র দাস তার সমাপণী বক্তব্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর কাছে প্রত্যাশা করেন যে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এরূপ কার্যক্রম এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাথীর্দের নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতা আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি ব্যক্তি পর্যায়ের সচেতনতার পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকশই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা বাস্তবায়নের সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ-কে স্বাগত জানান এবং সকলকে খাদ্যের নিরাপদতা বিষয়ক যথাযথ ভূমিকা পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়ে কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস